নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১০ নং বড়বালা ইউনিয়নে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর খুনসহ ডাকাতি মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।
(৮ জুন) রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলাম জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় মিঠাপুকুর থানাধীন বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেন সরকারের ছেলে আবু রায়হান, মিজানুর রহমানের বাড়ীতে একটি খুনসহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী ৬/৭ জনের একটি ডাকাত দল বাড়ীর প্রাচীর টপকে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে এলোপাথারী মারধর করে মোর্শেদা বেগমের মাথায় আঘাত করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মামলার বাদীকে মারধর করে মৃত্যুভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, জমির দলিলসহ মোট ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে উক্ত বাড়ীতে শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী থাকার সুযোগে। পরের দিন ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সিআইডি এর ক্রাইম সিন টিম, পিবিআই, ডিবি রংপুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
রংপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, বিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিঠাপুকুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আলম সিদ্দিক ,ঘটনার ৬ দিনের মধ্যেই খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীতে আরো ৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। যার মধ্যে ৩ জন আসামি বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত পেশাদার দূর্র্ধষ ডাকাত জাকির হোসেন ঘটনার পর থেকে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে ছিলেন।
শুক্রবার (৭ জুন) আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার নূর আলম সিদ্দিকের নেতৃত্বে বদরগঞ্জ থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট বাজার এলাকা হতে খুনসহ ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার কুশদহ মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য গ্রেপ্তারকৃত আসামি একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক সংক্রান্ত মোট ৯টি মামলা রয়েছে।