স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুর মহানগরীর চকবাজার কামারের মোড়ে পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী মানিক মিয়া নামে এক ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মানববন্ধনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর নগরীর আশরতপুর ইদগাহপাড়ায় ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মানিক মিয়া জানান, রংপুর মহানগরীর চকবাজার কামারমোড়ে মুসকান ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তিনি দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার মুসকান ভ্যারাইটিজ ষ্টোর সংলগ্ন রুমা বেগম ও তার স্বামী বেলাল হোসেনের দোকান রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়ার সুবাদে আমার ধর্মবোন আলেয়া আক্তারের সঙ্গে রুমা বেগমের সখ্যতা গড়ে উঠে। আলেয়া আক্তার মারা যাওয়ার পূর্বে রুমা বেগম ৭ দিনের কথা বলে স্ট্যাম্প ও চেকের বিনিময়ে আলেয়ার কাছ থেকে ১১,৮০,০০০/ টাকা ধার নেন। রুমার ধার নেওয়া টাকার বিষয়টি আমার ভাগিনা মৃত-আলেয়ার সন্তান শাকিবুল হাসান শ্রাবণ আমাকে জানায়।পরে এতিম ভাগিনার তার মায়ের দেওয়া হাওলাত টাকা তুলতে কথাবার্তা বলার জন্য ২০ অক্টোবর আমি সেখানে গেলে রুমা বেগম ও তার ছেলে রুমন আমাকে আকস্মিক হামলা করে।
আমার উপর হামলার কথা শুনে আমার আত্মীয় স্বজনরা সেখানে গেলে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে রুমা বেগম এবং তার ছেলে রুমন আমার বোনের পাওনা টাকা যাতে দেওয়া না লাগে সেজন্য রংপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক- পলাশ তালুকদার নামে এক ব্যক্তির কাছে যায়। পলাশ তালুকদার আমাকে বিভিন্ন ভাবে দেখা করতে বলে এবং ফোন দেয়। একসময় সে মিমাংসা করে দেবে এমন অজুহাতে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি তা দিতে অস্বীকার করায় আমার নামে কয়েকজন কিশোরকে একত্রিত করে আমি মাদক কারবার করি,এমন অভিযোগে মিথ্যা বানোয়াট একটি মানববন্ধন করান। তিনি আরো বলেন, আমি যদি মাদক কারবারি হই,তাহলে আমার বিচার আইন করবে। এলাকাবাসীর কাছে আপনারা গিয়ে তাদের একটু জিজ্ঞাস করেন, আমি কি করি তাঁরা ভালো জানে।
মানিকের বাবা টুকু মিয়া, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার ছেলে মাদক কারবার করেনা। সরকার পতনের পূর্বেও এই চক্রটি আমার ছেলেকে জামায়াত শিবির ট্যাগ দিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। এখন আবার বলছে,আমার ছেলে না-কি আওয়ামী লীগ করে। অথচ সে কোনো রাজনীতি করেনা। মানিকের মায়ের দাবি, আমার ছেলেকে একটি কুচক্রী মহল সর্বশান্ত করার চেষ্টা করছে। যাঁরা হয়রানি করছে তিনি তাদের বিচার দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পলাশ তালুকদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। দোকান বন্ধ থাকায় রুমা দম্পতির সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ, শাহালম সর্দার জানান, এই বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply