নিজস্ব প্রতিবেদক।।
রংপুরের সর্ববৃহৎ উপজেলা মিঠাপুকুর। দেশের এবং জেলার অন্যসব উপজেলার চাইতে এখানে শান্তি শৃঙ্খলা এবং জনসাধারণের নিরাপত্তায় পুলিশকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে মাদক, জুয়ার বিষয়টি অনেকটা চাপা পড়ে যায়। তবে আবু বক্কর সিদ্দিক, মিঠাপুকুর থানায় যোগদান করার পর থেকেই মাদক আর জুয়ায় বিশেষ নজর দিয়েছেন। তার চৌকসতায় মাদক কারবারিরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘ একযুগ পর কয়েকজন শীর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার সহ সর্বাধিক মাদক মামলা দায়ের করে প্রসংশায় ভাসছেন (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক।
জানা যায়, আবু বক্কর সিদ্দিক ওসি হিসেবে গত (৫-নভেম্বর) মিঠাপুকুর থানায় যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পূর্বে দেশের চলমান পরিস্থিতির সূযোগে মিঠাপুকুরে বেড়ে গিয়েছিল জুয়া,মাদক, চুরি ছিনতাই সহ চাঁদাবাজি। তিনি ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর মাত্র ১ মাস ৮ দিনেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি ঘটতে থাকে। অপরাধ প্রবনতা কমাতে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক,শুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয়,ছাত্র প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপরাধ নিমূলে মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
ওসি, আবু বক্কর সিদ্দিক, অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক ভাবে তরুণ আর ছাত্র সমাজকে মাদক আর জুয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। যার পরিপেক্ষিতে অপরাধীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি চাপে পড়ে অনেক মাদক কারবারি মাদক বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত একযুগ ধঁরে মিঠাপুকুরে যেসব চিহ্নিত মাদক কারবারি পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে ছিলো তাঁরা এখন জেলে বাকীরা রয়েছে আতঙ্কে।
মিঠাপুকুর থানায় গত একমাসে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার বেশীর ভাগই ছিলো মাদক উদ্ধার সহ মাদক কারবারি গ্রেফতার। পাশাপাশি নারী শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ,জুয়ার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তিনি প্রশংসায় ভাসছেন। মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিপুল বলেন, ওসিকে একটু কাজ করার সূযোগ দিতে হবে। চলমান অবস্থায় দ্রুতগতিতে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মাদক বিরুদ্ধে কোনো আপোষ নয়, যেখানে যে অবস্থায় আমাদের কাছে তথ্য আসবে,সেখানে সে অবস্থায় আমরা অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পাশাপাশি চুরি ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply